বিজিবি ৪৫ ব্যাটেলিয়েনের কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল মজিদ জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ খাইরুল ইসলাম (৩২) ধর্মপুর গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে। তাকে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনয়া বুধবার দুপুর বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ গুলির কথা অস্বীকার করেছে বলে জানান আব্দুল মজিদ।
স্থানীয়রা জানান, ধর্মপুর সীমান্তে আন্তর্জাতিক পিলার নম্বের ৯৪২ এর সাব পিলার ৮ এস’র কাছ দিয়ে খায়রুলসহ ১০/১২ জন কাটাতারের উপরে মই বসিয়ে গরু আনছিল। এ সময় ভারতের ৪২ বিএসএফ সেউটি-২ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে খায়রুলে বুকের ডানদিকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তার সঙ্গীরা জানিয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর নিয়ে যান।
আব্দুল মজিদ বলেন, “আমরা তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে বিএসএফের কাছে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছি। পরে কোম্পানি পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়।”
সীমান্তে বিএসএফের গুলির কথা স্বীকার করে কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকির হোসেন বলেন, বিএসএফ পতাকা বৈঠকে গুলির কথা অস্বীকার করেছে।
খাইরুলের মা খায়রুন বেগম বলেন, “আমার ছেলে বাজার খরচ করার জন্য মঙ্গলবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুনেছি বিএসএফ আমার ছেলেকে গুলি করেছে।”