রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা: ১১টি আঘাতের চিহ্ন

ঝালকাঠিতে পিটুনিতে নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম খানের শরীরে ১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2016, 09:58 AM
Updated : 16 Nov 2016, 09:58 AM

বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

এরপর ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রহিম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তবে ঢাকা থেকে ভিসেরা রিপোর্ট সম্পন্ন হওয়ার পর নিশ্চিত করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে বলে সিভিল সার্জন জানান।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মানিক রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।”

সোমবার সন্ধ্যায় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষক নিয়োগেরে ব্যপারে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম খান ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী রাজাপুরের আমতলা এলাকায় মরিয়ম আক্তার মুক্তা নামের এক শিক্ষিকার বাড়ি যান।

সেখানে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্কের’ অভিযোগ তুলে তাকে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় কিছু লোক। মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়িতে ওই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়।

নিহত আব্দুস ছালাম খান পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শামসুল আলম মুরাদ বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু হাওলাদার ও শাহ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রাজাপুর থানার ওসি মুনির উল গিয়াস বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা পালিয়ে রয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।