নরসিংদীতে সংঘর্ষে নিহত ৪

নরসিংদীর রায়পুরার একটি ইউনিয়নে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার পুলিশসহ অর্ধশতাধিক।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2016, 11:14 AM
Updated : 18 Dec 2016, 02:14 PM

সোমবার বিকালে উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থক এবং পরাজিত ও সাবেক চেয়াম্যান আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলামজানান।

নিহতরা হলেন আবদুল হক সরকারের সমর্থক আমিরাবাদ গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে মানিক মিয়া (৪০), আবদুস ছালামের ছেলে শাজাহান (৪০), সোনাকান্দি গ্রামের আরব আলীর ছেলে খোকন (৩৫) ও মঙ্গল মিয়ার ছেলে মামুন (২৩)।

সংঘর্ষে ওসি আজহারুল ইসলামসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহত গ্রামবাসীর মধ্যে গুলিবিদ্ধ ফরিদ মিয়া (৩৫), রাকিব (১৬), সিপন (১৮), টেটাবিদ্ধ শামিম (২০), রোজি বেগমকে (২৮) নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যরা গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সংঘর্ষের পর ছয়টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ১০ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।

ওসি বলেন, তাজুল ইসলামের সমর্থকরা রোববার দুপুরে আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। ওই ঘটনায় অন্তত পাঁচটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এর জেরে সোমবার দুপুরে দুপক্ষ টেটা, লাঠি, বল্লম, দাসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  পুলিশ বাধা দিতে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসাপাতালে নেওয়ার পথে আরকেজনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হাতবোমা ও টেটার আঘাতে তিনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

একজনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে রয়েছে বলে জানান তিনি।

সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়েছে বললেও কী পরিমাণ গুলি ছুড়েছে তা জানাতে পারেননি নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসপি আমেনা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় অন্তত ৩০ গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।