রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় তার দুই ছেলে নিষাদ, নিনিত ও স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় শতাধিক ভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের দুই ভাই জাফর ইকবাল ও আহসান হাবিবসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তার কবর জিয়ারত করেন।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিগুলো এখন দেশের বাইরেও ভিন্ন ভাষায় প্রচার হচ্ছে। এটা ভালো যে মানুষ তাকে আরও ভালোভাবে এবং বেশি জানতে পারছে।
“তবে সেগুলো নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা এটা আমার জানার বিষয়। কারণ, হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধিকার হলো তার সন্তানেরা। তারা রয়েলিটি পাচ্ছে কিনা বা তাদের অনুমতি নিয়ে প্রচার হচ্ছে কিনা সেগুলো দেখা দরকার।”
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার ডাক নাম ছিল কাজল। বাবার রাখা তার প্রথম নাম শামসুর রহমান। পরে তিনিই ছেলের নাম বদলে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। ক্যান্সারে ভুগে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তার মৃত্যু হয়। এরপর গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।
জন্মভূমি নেত্রকোণায় নানা আয়োজন
জন্মভূমি নেত্রকোণায় হুমায়ূন আহমদের জন্মবার্ষিকীতে নেওয়া হয়েছে নানা আয়োজন।
বিদ্যালয় মিলনায়তনে কোরআন খতমের পর হুমায়ূনের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১টায় বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে বঙ্গবাজার ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে ৬৮তম জন্মদিনের কেক কাটেন প্রয়াত লেখকের চাচা আলতাবুর রহমান।
এছাড়াও পালিত অন্যান্য কর্মূচিরমধ্যে রয়েছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা সদরে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ ও চর্চা সাহিত্য আড্ডা যৌথ আয়োজনে কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, হুমায়ূন আহমেদের বই পড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।