গত কয়েক দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, বরিশাল, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
ঠাকুরগাঁও
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সহ সভাপতি পারভিন লুনা, সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব, সহ-সাধারণ সম্পাদক মল্লিকা মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ বেগম, কাউন্সিলর দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একটি সম্প্রদায় ও সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ের উপরে যে ন্যাক্কারজনক আক্রমন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা এ দেশের সচেতন শান্তিকামী মানুষ কোনভাবেই মেনে নেবে না। অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
নেত্রকোণা
নেত্রকোণা শহরের তেরীবাজার মোড়ে সকালে মানববন্ধন করেছে শারদাঞ্জলী ফোরাম, জেলা উদীচীসহ কয়েকটি সংগঠন।
মানববন্ধনে বলা হয়, মন্দিরে হামলা ও হিন্দুদের টার্গেট করে চালানো নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। কঠোরতার সঙ্গে এসব ঠেকাতে হবে প্রশাসনকে।
বক্তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগও দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরেও রোববার দুপুরে মানববন্ধন হয়েছে। নাসিরনগরের সর্বস্তরের জনগন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যানারে এ মানববন্ধনে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল জ্যেতি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক হরিপদ পোদ্দার, গৌর গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সাভার
ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েক জেলায় মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে ধামরাইয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
ধামরাই উপজেলা চত্বরের এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি খগেশ রাজ বংশী, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন ধর, পৌর হিন্দু মহাজোটের সভাপতি হারাধন চক্রবর্তী, জয়দেব আর্চায্য, সন্তোষ বনিক প্রমূখ ।
বক্তারা অবিলম্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দাবি জানান।