শরীয়তপুরের সেতুটি মেরামত হয়নি ৯ দিনেও

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের চরসেন্সাস বালার বাজারে ভেঙে পড়া বেইলি সেতুটি নয় দিনেও মেরামত হয়নি।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2016, 10:32 AM
Updated : 6 Nov 2016, 10:32 AM

এ কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরের হরিণা ফেরি ঘাট হয়ে আসা কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক শরীয়তপুর অংশে আটকা পড়েছে।

কবে নাগাদ সেতুটি ঠিক হবে তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

গত ২৮ অক্টোবর রাতে লোহার রডবোঝাই একটি ট্রাক বালার বাজার বেইলি সেতুর উপর উঠলে সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার দুই দিন পর সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু করে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, “আমরা ৩০ জন শ্রমিক দিয়ে সেতুর ভাঙা অংশ অপসারণের জন্য কাজ করছি। এ কাজ শেষ হলে নতুন বেইলি সেতু বসানো হবে।”

তবে এতে ঠিক কতদিন সময় লাগবে তা এ মুহুর্তে বলা যাবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে চাঁদপুরের হরিণা ফেরি ঘাট পার হয়ে আসা কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকান পড়েছে মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে। নরসিংহপুর ফেরী ঘাট থেকে বালার বাজার পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে অন্তত চারশ ট্রাক রয়েছে। এসব ট্রাকের সাত শতাধিক চালক ও সহকারী সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। 

ট্রাক চালক শেখ রফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন শরীফ, মো. কাজল মিয়া, আবুল কালাম ও জামাল হোসেন বলেন, তারা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চল থেকে পিরোজপুর, বরিশাল, ভোমরা বন্দর ও মংলা বন্দরে যাওয়ার জন্য হরিণা ফেরিঘাটে আসেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, “ফেরি কর্তৃপক্ষ ২-৩ দিনের মধ্যে বালার বাজার সেতু মেরামত হয়ে যাওয়ার কথা বলায় তারা ফেরি পার হই। এখন এপাড়ে এসে দেখি সেতু মেরামতের যে ধীর গতি তাতে এক মাসেও তা সচল হবে বলে মনে হচ্ছে না। এখন আমরা পড়েছি মহা সমস্যায়।” 

ফেরি না চলায় স্থানীয়রা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকায় নদী পার হচ্ছেন।

জেএসসি পরীক্ষার্থী আবিদ, লায়মা ও ইলিন জাহান বলেন, আগে তারা খুব সহজেই ব্রিজের উপর দিয়ে পার হতে পারত। এখন নৌকায় যেতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে।

আগামী এক মাসেও এই সেতুটি সচল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন নরসিংহপুর ফেরিঘাট ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তার। 

তিনি বলেন, “প্রতিদিন দুই পাড়ের ফেরিতে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লোকসান হওয়ায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরি স্থানান্তর করে আরিচা ও শিমুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা এই রুটের ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রেখেছি।”