শুক্রবার সকালে পুলিশ গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। গিয়াস মান্দা উপজেলার মৈনম বাজার এলাকার বাসিন্দা।
মন্দির কমিটির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে লোকজন নিয়ে গিয়াস উদ্দিন মন্দিরের প্রাচীর ভাংচুর করে এবং মূর্তি ও পূজার সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলেছেন। তখন তারা থানায় খবর দেন।
গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর মন্দিরের লোকজন জায়গাটিতে দখলে রয়েছেন বলে পুলিশ ও কমিটির লোকজন জানান।
মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী ব্রজেন্দ্রনাথের দাবি, প্রায় একশ বছর আগে থেকে এ মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন তাদের পূর্বপুরুষগণ।
“হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই জায়গাটি নিজেদের দাবি করে মূর্তি, মন্দির ভাংচুর করে পূজার সরঞ্জামাদি সরিয়ে নিয়ে মন্দিরের জায়গার মালিকানা দাবি করেন গিয়াস উদ্দিন।”
‘আদিকাল’ থেকেই জায়গাটিতে পূজা হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী রাজা।
তবে, এ জমির মালিকানা কার এবং কাগজপত্র কার কাছে আছে তা তিনি জানেন না।
মান্দা থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপক্ষই জায়গাটি দাবি করছে। এ নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে থানায় কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।
“গিয়াস উদ্দিন বলছেন-তার কাছে দলিলপত্র আছে। মন্দিরের লোকজনের দাবি-তারা শত বছর ধরে পুরুষানুক্রমে এখানে পূজা করে আসছেন।”
এ ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করার পর মন্দির কমিটি এখন দখলে আছে বলে তিনি জানান।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোনো পক্ষই এখনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাদের নিজ নিজ দলিলপত্র আনতে বলা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করার পর বলা যাবে ওই সম্পত্তির মালিক কে।
শনিবার রাতে নওগাঁর জেলা প্রশাসক আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই জায়গার প্রকৃত মালিক কে তা নির্ধারণে দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আমাকে জমির কাগজপত্র দিয়েছেন। রোববার সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করবে।”
প্রকৃত মালিককে জমি উদ্ধার করে দেওয়া বলেও জানান তিনি।
গত কয়েক দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, বরিশাল, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার এবং তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।