অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, উপজেলা শহরের মধ্যপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার কয়েকটি বাড়িতে শুক্রবার ভোরে আগুন দেওয়া হয়।
“হিন্দুদের চারটি বাড়ির সাতটি ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”
আগুন দেওয়া হয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের পাশে সাগর দাসের দুর্গামন্দিরে, শীলপাড়ার কেশব চক্রবর্তীর একটি কাঠ রাখার ঘরে, নমঃশূদ্রপাড়ার ফুলকিশোর চক্রবর্তীর গোয়ালসহ তিনটি ঘরে এবং বণিকপাড়ার অমর দেবের রান্নাঘরে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভোরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সঙ্গে ‘যে বা যারা জড়িত’ তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ এবং ওসি আবদুল কাদেরের উপস্থিতিতে সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের পর ওই হামলা হয়। ওই ঘটনার পর সহস্রাধিক লোককে আসামি করে দুটি মামলা হয়, গঠন করা হয় তিনটি তদন্ত কমিটি।
পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারপরও কীভাবে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নাসিরনগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজিত চক্রবর্তী শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনার পর এলাকার হিন্দুরা এখন আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।