পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত শুনানি শেষে রসরাজকে হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন।
গত শুক্রবার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের ৩০ বছর বয়সী রসরাজ দাসের ফেইসবুক পাতায় ‘ইসলাম অবমাননা করে’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শনিবার পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ফেইসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে ছবি পোস্ট করার ঘটনায় নাসিরনগর থানায় দায়েরকৃত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মামলায় গ্রেপ্তার রসরাজ দাসকে দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
“পুলিশ সাত দিনের জন্য আবেদন করলেও বিচারক সুলতান সোহাগ উদ্দিন পাঁচ দিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।”
নাসিরনগর থানার এসআই মহিউদ্দিন সুমন শনিবার রসরাজের নামে মামলাটি করেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নাসিরনগরের ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ঘটনার পর দুটি মামলা হয়েছে, যার প্রত্যেকটির আসামি অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জন। গঠিত হয়েছে তিনটি তদন্ত দল। প্রত্যাহার করা হয়েছে নাসিরনগর থানার ওসি আবদুল কাদেরকে।