মাধবপুরেও মন্দিরে ভাংচুর

ধর্মের অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের মতো হবিগঞ্জের মাধবপুরেও দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2016, 04:20 PM
Updated : 30 Oct 2016, 04:20 PM

রোববার বিকালে মাধবপুর বাজারে এ হামলা হয়। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস শুক্রবার ‘ইসলাম অবমাননা করে’ ফেইসবুকে পোস্ট দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশ পরে ওই ছেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

একই ঘটনায় রোববার নাসিরনগরেও মন্দির ও বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিকালে মাধবপুর উপজেলা চত্বরে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নাসিরনগর উপজেলার লোকজন অংশ নেন।

প্রতিবাদ সভা চলাকালে একদল যুবক মাধবপুরে বাজারে প্রবেশ করে ঝুলন মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর ও কালী মন্দিরের গেইট ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।   

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব আলী, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, জেলা ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) এমরান হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে আকবর মো. শাহজাহান, উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা মোকলেছুর রহমান, থানার ওসি মোকতাদির হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।

মাওলানা ইউনুছ আনছারির সভাপতিত্বে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজিজি, মাওলানা ইলিয়াছ, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা মির্জা হাছান আলী, মাওলানা খাদেমুল ইসলাম আল হাসানি, সুন্নি জামাত নেতা জসিম উদ্দিন, এখলাছ সিরাজী, শামিম আহাম্মেদ প্রমুখ।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুনীল দাস বলেন, “মন্দিরে হামলার ঘটনায় আমরা মর্মাহত।”

৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

র‌্যাব -৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক মাঈন উদ্দিন বলেন, র‌্যাব উপস্থিত হওয়ার আগেই মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। কারা মন্দিরে হামলা করেছে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, যারা মন্দিরে হামলা ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করেছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।