বালার বাজার সেতু: মেরামত শুরু হয়নি দুই দিনেও

সেতু ভেঙে শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের মধ‌্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও সড়ক জনপথ বিভাগ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2016, 06:20 AM
Updated : 30 Oct 2016, 06:22 AM

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, ভেদরগঞ্জে ভেঙে পড়া বেইলি সেতুটি মেরামতের জন‌্য তারা যন্ত্রপাতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বরিশালের মঠবাড়িয়া যাওয়ার পথে রডভর্তি একটি ট্রাক শুক্রবার রাতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের চরসেনসাস বালার বাজার বেইলি সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।

চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতু ব্যাপারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রাকটি তোলা হলেও সেতু মেরামতের কোনো উদ‌্যোগ এখনও তারা দেখছেন না।

“ভেঙে পড়া সেতুর দুই পাড়ে শত শত মালবোঝাই গাড়ি আটকা পড়ে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দুই-এক দিনের মধ‌্যে স্থানীয়দের পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু যানবাহন চালাচলের জন‌্য সেতু মেরামত করতে হবে।”

চট্রগ্রাম থেকে খুলনার পথে রওনা হয়ে ভেদরগঞ্জে আটকা পড়া একটি ট্রাকের চালক আর্শেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মালামাল নিয়ে দুই দিন আটকা পড়ে খুবই কষ্টে আছি। কবে ব্রিজ ঠিক করবে বুঝে উঠতে পারছি না।”

ভেদরগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুম বালা বলেন, “সেতু মেরামতে সড়ক জনপথ বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা নৌকা দিয়ে লোকজনকে নদী পার করছি।”

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু চন্দ্র দেবনাথ বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলেই তারা মেরামত শুরু করতে পারবেন। তবে কবে তা শুরু হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তিনি বলতে পারেননি।

“দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতু সচল করতে আমরা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সহায়তা নিচ্ছি।”

এদিকে শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৭টি জেলার সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু চন্দ্র জানান, পাঁচ বছর আগেই সেতুটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে ১০ টনের বেশি পণ্য বহন না করার নোটিস দেওয়া হয়েছিল।

সে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ২০-৩গ টন পণ্য নিয়ে হরহামেশা গাড়ি চলাচল করছিল বলে জানান তিনি।