সেতু ভেঙে শরীয়তপুর-চাঁদপুর যোগাযোগ বিছিন্ন 

ট্রাকসহ সেতু ভেঙে পড়ার পর শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2016, 01:08 PM
Updated : 29 Oct 2016, 01:08 PM

শরীয়তপুর-চাদপুর সড়কে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বালারবাজার বেইলি ব্রিজটি শুক্রবার রাতে ভেঙে পড়ে।

এরপর থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৭টি জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ শহিদুল ইসলাম শাহরিয়ার জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লোহার রডবাহী একটি ট্রাকসহ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সেতুর দুই পাড়ে শতাধিক পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে পড়ে বলে তিনি জানান।

“ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর গভীর রাত পর্যন্ত আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। ব্রিজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সচল করার জন্য আমরা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সহায়তা নিচ্ছি।”

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় তিনশ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি মাঝখানে ধসে নদীতে পড়ে গেছে। ট্রাকটি সেতুতে আটকে আছে।

সেতুটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেটের যানবাহনগুলোকে ঢাকার উপর দিয়ে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া এবং কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া ফেরি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হবে।

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালক মো. মামুন বলেন, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে রড বোঝাই ট্রাকটি নিয়ে পিরোজপুরের মঠমাড়িয়া যাচ্ছিলেন। চাঁদপুর থেকে ফেরি পার হয়ে রাত ১০টার পর বালারবাজার সেতুতে ওঠার পর মাঝামাঝি গেলে বিকট শব্দ করে তা ধসে পড়ে।

যাত্রীবাহী বাস ‘ফেম পরিবহন’-এর যাত্রী লিজা আক্তার বলেন, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে বরগুনার পাথরঘাটা যাওয়ার জন্য তারা গাড়িতে ওঠেন। শনিবার সকালে আমাদের পৌঁছানোর কথা ছিল।

“সেতু ভেঙে যাওয়ায় সারা রাত এখানে দুর্ভোগে ছিলাম। কীভাবে পাথরঘাটা যাব বলতে পারছি না।”

বালারবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুদ বালা বলেন, এই ব্রিজটি পাঁচ বছর আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ১০ টনের বেশি পণ্য বহন না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও ২০-৩৫ টন পণ্য নিয়ে হরহামেশা গাড়ি চলাচল করতে থাকে।