পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, ছাতির মানসিক বিকারগ্রস্ত।
সোমবার হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া ছাতির আলীকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার সিলেটের আদালতে নেয় পুলিশ।
জ্যেষ্ঠ ব্চিারিক হাকিম নজরুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ছাতির।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাতির আলী আদালতকে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে সুপারি গাছের সড়কি দিয়ে আঘাত করে প্রথমে মামুনকে ও পরে রুজেলকে হত্যা করে।”
সোমবার ওসমানী নগর উপজেলার চিন্তামনি এলাকার একটি ধানক্ষেতের পাশের ডোবা থেকে ছাতির আলীর দুই ছেলে রুজেল আহমদ (১১) ও মামুন আহমদের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়।
মাছ ধরার কথা বলে তাদের নিয়ে বাড়ি থেকে ছাতির আলী বেরিয়েছিল বলে তাদের মা নুরবিন বেগমের ভাষ্য।
লাশ পাওয়ার পর থেকে ছাতিরের সন্ধান মিলছিল না। বুধবার চিন্তামনি গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে ছাতিরকে ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে স্ত্রী নুরবিন বাদী হয়ে সন্তান হত্যার অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ছাতির আলী ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ বলে স্বজনেরা যে দাবি করছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান জানান।