মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকৌশল অনুষদের (‘এইচ’ ইউনিট) জোড় রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা চলাকালে চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের ২৩৩ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিকদের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।
আটক আশিক আহমেদ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে এবং বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
রাবি উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, আশিক শার্টের ভেতর একটি ফোনসেট বিশেষ কায়দায় বুকের সঙ্গে বেঁধে রাখে। শার্টের পকেটের একটা অংশে ছিদ্র রয়েছে। সেই ছিদ্র শার্টেরই বাড়তি অংশ দিয়ে ঢেকে রাখা যায়।
“শার্টের ওই ছিদ্রের সঙ্গে ফোনের ক্যামেরা সেট করা হয়েছে। পকেটের কাছের ওই অতিরিক্ত অংশ সরালেই সামনে থাকা প্রশ্নপত্র ক্যামেরায় আসে।”
চৌধুরী সারওয়ার বলেন, ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগানো ছিল। হেডফোনের একটা অংশ তার প্যান্টের পকেটে থাকত। ওই হেডফোনের বাটনে একটা চাপ দিলে ক্যামেরা চালু হয়। দ্বিতীয় চাপে ছবি ওঠে। আর তৃতীয় চাপে ওই ছবি নির্দিষ্ট ঠিকানায় চলে যায়।
“এভাবে আশিক ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে জালিয়াতি চক্রের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। তার কাজই হচ্ছে জালিয়াতি চক্রের কাছে ছবি পাঠানো। আর ওই জালিয়াতি চক্র হয়ত প্রশ্নপত্রের সমাধান করে অন্য কোনো পরীক্ষার্থীদের উত্তর পাঠানোর চেষ্টা করত। কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি।”
তিনি আরও বলেন, আশিক বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ব্যবহার করে একাধিক ফরম তুলেছে। কিন্তু প্রত্যেক ফরমেই নিজের ছবি ব্যবহার করে। আমরা বিশেষ কায়দায় এই একাধিক ছবি ব্যবহার করে ফরম পূরণকারী শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই নজরে রাখছিলাম।
প্রতি পরীক্ষার জন্য আশিক ১০ হাজার টাকা করে পেত বলে জানান উপ-উপাচার্য।
উপ-উপাচার্য আরও বলেন, আশিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মতিহার থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।