দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা ভালো নয়: চিকিৎসক

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছর বয়সী শিশুটির অবস্থা ভালো নয় বলেছেন চিকিৎসক।

নিজস্ব প্রতিবেদকদিনাজপুর প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2016, 03:17 PM
Updated : 25 Oct 2016, 03:17 PM

মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে (১৮ অক্টোবর) সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।  

ওসিসির সমম্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম বলেন, শিশুটিকে শিশু সার্জারি, গাইনি, ফরেনসিক ও নিউরো বিভাগের চিকিৎসক দেখে গেছেন। তার অবস্থা ভালো নয়।

“তার যৌনিপথে ‘ইনফেকশন’ হয়েছে। তাছাড়া মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

বুধবার সকালে শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক কাজল ও গাইনি বিভাগের অধ্যাপক সালমা রউফ শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে জানান ডা. বিলকিস।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান শিশুটিকে দেখতে যান।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আব্দুল গফুর জানান, মেয়েটির চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে মাহবুবুল হক শাকিল তাদের জানিয়েছেন।

পার্বতীপুর থানার পরিদর্শক বেলাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। 

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে শিশুর বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে সোমবার রাতে পার্বতীপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক রয়েছে।