মঙ্গলবার দুপুরে চাপাইর ইউনিয়নের কুতুবদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে কালিয়াকৈর থানার এসআই আব্দুল্লাহ-আল তাবির জানান।
ওই কিশোরী কুতুবদিয়া গ্রামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর মেয়ে এবং স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মেয়েটির ভাই সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে এলাকার এক ছেলে তার বোনকে উত্ত্যক্ত করত। এ ব্যাপারে ওই ছেলের স্বজনদের কাছে বিচার দিলেও কোনো লাভ হয়নি।
উল্টো সে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে মেয়েটির ভাইয়ের অভিযোগ।
তিনি বলেন, নিয়মিত উত্ত্যক্ত করায় তার বোন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে স্কুলে পরীক্ষা শুরু হবে বলে কয়েকদিন ধরে আবার স্কুলে যেতে শুরু করে। তখন তার বোনকে আবারও উত্ত্যক্ত ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে ওই ছেলে।
“মঙ্গলবার ভোরে ওই ছেলেকে আমাদের বাড়ির কাছে দেখে আমার মা তার কাছে কারণ জিজ্ঞাসা করতেই সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘরে গিয়ে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার বোনের লাশ পাওয়া যায়।”
এসআই আব্দুল্লাহ-আল তাবির বলেন, মেয়েটির ঘরের ধর্না থেকে লাশ খুলে তার স্বজনরা বিছানার উপর রেখে দেয়। খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
উত্ত্যক্ত করার জেরেই মেয়েটি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে তার স্বজনরা থানায় আগে কোনো জিডি করেননি বলে জানান আব্দুল্লাহ।
তিনি জানান, ছেলেটির বাবা গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সবাই পলাতক।