এরপর তাদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ মোহাম্মদ নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য বা লিখিত বক্তব্য না দিয়ে ন্যায় বিচারের আবেদন জানান।
অপর দুই আসামি আরিফ হোসেন ও মাসুদ রানা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে লিখিত বিবৃতি দেন।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ২৩ আসামির উপস্থিতিতে এ চার আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন।
বাকি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, চার আসামিকে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এরপর তাদের সাফাই সাক্ষ্য বা লিখিত বক্তব্য দেবেন কিনা প্রশ্ন করা হয়।
বাকি আসামিদের আগামী ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে উত্খাপিত অভিযোগ পড়ে শোনানো হবে এবং একই প্রশ্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নাসিকের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ তার ৫ সহযোগীকে অপহরণ করা হয়। একই সময় একই স্থান থেকে অপর একটি গাড়িতে থাকা নারায়ণগঞ্জ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারকে ও তার গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলা শান্তির চর এলাকার তীর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি এবং চন্দন সরকারের মেয়েজামাই বাদী হয়ে একই থানায় অপর মামলাটি দায়ের করেন।