সোমবার বিকালে কয়েকশ ট্রাক, বাস ও বিভিন্ন ধরনের ছোটগাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় থাকে বলে বিআইডব্লিউটিসি জানায়।
নৌরুটের চ্যানেলে দুইটি ড্রেজার অবস্থান করায় রোববার রাত ১১টার থেকে রোরো ফেরিসহ নয়টি ফেরি বন্ধ রাখা হয়। শুধু ছয়টি ছোট ফেরি চলাচল করে। সোমবার বিকালে একটি ড্রেজার সরিয়ে নিলে ফেরিগুলোর চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) খালেদ নেওয়াজ জানান, পদ্মার পানি কমতে থাকায় ফেরি রুটে নাব্যতা সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট থেকে মাগুরখণ্ড চ্যানেলের মাঝে ক্রস চ্যানেলে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজার ও পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহৃত চীনাদের একটি ড্রেজার ওই ক্রস চ্যানেল পয়েন্টে থাকায় এপথে ফেরিগুলো যথাযথভাবে চ্যানেন পারি দিতে পারছিল না।
“এতে ছোট আকারের মাত্র ছয়টি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে রোববার রাত থেকে ফেরি চলাচল করা হয়। সোমবার বিকাল ৪টার পর পদ্মা সেতুর ড্রেজারটি ক্রস চ্যানেলের মুখ থেকে সরিয়ে নিলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”
তিনি বলেন, তবে চ্যানেলে পানি কম থাকায় ফেরিগুলো পুরোপুরি লোড নিয়ে চলতে পারছে না। খুব স্বপ্ল সংখ্যক যানবাহন নিয়ে এখন ফেরিগুলো পদ্মা পারি দিচ্ছে। এ কারণে উভয় ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট।
তিনি আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর বেশ কয়েকটি ড্রেজার দীর্ঘদিন ধরে বালু কাটার পরও চ্যানেলের নাব্যতা সংকট দূর হয়নি। তাই নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ছে দক্ষিণাঞ্চের ২১ জেলার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সুলতান আহমেদ খান বলেন, চ্যানেলে কোনো নাব্যতা সংকট নেই। তবে ক্রস চ্যানেলের মুখে পদ্মা সেতুর ড্রেজারের জন্য কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল। নতুবা নদীতে যে পানি রয়েছে তাতে ফেরি চলাচলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।