রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হেমায়েত উদ্দিনকে দাফন

হেমায়েত বাহিনীর প্রধান বীরবিক্রম খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2016, 12:54 PM
Updated : 24 Oct 2016, 12:57 PM

তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ গ্রাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপরিয়া গ্রামে ‘হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘর’ প্রাঙ্গণে সোমবার বিকালে তাকে সমাহিত করা হয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করে। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এর আগে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানজার পর পুলিশ গার্ড অব অনার দেয়।

সোমবার বেলা ১টার দিকে হেমায়েত উদ্দিনের মরদেহ হেলিকপ্টারে টুপরিয়া গ্রামে আনা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হেমায়েত উদ্দিন মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে মিলন জানান, ১৯৪১ সালের ৩ ডিসেম্বর টুপুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেমায়েত উদ্দিন। হেমায়েতের বাবার নাম শেখ আব্দুল করিম ও মায়ের নাম সখিনা বেগম।

হেমায়েতের ভাই মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক জানান, হেমায়েত উদ্দিন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ব্যান্ডপার্টির হাবিলদার পদে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ  ঢাকার গাজীপুর সেনানিবাস থেকে অস্ত্রসহ কয়েকজন বিদ্রোহী সৈন্য নিয়ে গোপালগঞ্জে চলে আসেন তিনি। পরে টুপুরিয়া গ্রামে এসে তিনি হেমায়েত বাহিনী গঠন করেন।

“মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে তিনি কোটালীপাড়া থানায় আক্রমণ করে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং কোটালীপাড়ার জহরের কান্দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেন।”

হেমায়েত বাহিনীর পাঁচ হাজার ৫৫৮ সদস্য ৪২টি দলে বিভক্ত হয়ে বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।