তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ গ্রাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপরিয়া গ্রামে ‘হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘর’ প্রাঙ্গণে সোমবার বিকালে তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করে। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানজার পর পুলিশ গার্ড অব অনার দেয়।
সোমবার বেলা ১টার দিকে হেমায়েত উদ্দিনের মরদেহ হেলিকপ্টারে টুপরিয়া গ্রামে আনা হয়েছে।
শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হেমায়েত উদ্দিন মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে মিলন জানান, ১৯৪১ সালের ৩ ডিসেম্বর টুপুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেমায়েত উদ্দিন। হেমায়েতের বাবার নাম শেখ আব্দুল করিম ও মায়ের নাম সখিনা বেগম।
“মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে তিনি কোটালীপাড়া থানায় আক্রমণ করে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং কোটালীপাড়ার জহরের কান্দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেন।”
হেমায়েত বাহিনীর পাঁচ হাজার ৫৫৮ সদস্য ৪২টি দলে বিভক্ত হয়ে বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।