অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ বিশ্বাস সতু বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তিনি কার্ড বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন।
সিদ্ধার্থ এই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি বিশ্বাসের ছেলে ।
এর আগে ওই ইউনিয়নের আরেক সাবেক চেয়ারম্যান কমলাখী বিশ্বাস ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ দশ টাকার চাল তুলেছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে সরোজ কান্তি বিশ্বাসের মেয়াদের শেষ দিকে ১০ টাকার চালের কার্ডের তালিকা তৈরি হয়। ওই তালিকা ধরেই চাল দেওয়া হচ্ছে।
বাবা চেয়ারম্যান থাকায় সিদ্ধার্থ ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে ওই তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করিয়েছেন, অভিযোগ তাদের।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চালের ডিলার ভূপতি বনিক জানান, সিদ্ধার্থ বিশ্বাসের কার্ড নম্বর ২৭৫।তিনি এ পর্যন্ত দুই দফায় ৬০ কেজি চাল নিয়েছেন।
সিদ্ধার্থ বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাবেক ইউপি সদস্য প্রণয় বিশ্বাস আমার নামে একটি কার্ড দিয়েছেন। কার্ড পাওয়ার পর বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীবাস বিশ্বাসকে আমার কার্ড বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছি।”
তবে ওই কার্ডে মাত্র একবার (সেপ্টেম্বর মাসে) ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেছেন এবং একটি হতদরিদ্র পরিবারকে তা দিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে সিদ্ধার্থের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রণয় বিশ্বাস নিজেকে ‘গ্রাম্য রাজনীতির’র শিকার বলে জানান।
তিনি বলেন, “চেয়ারম্যানের ছেলে সিদ্ধার্থ নিজেই প্রভাব খাটিয়ে কার্ড নিয়েছে। আমি তাকে কার্ড দেইনি।”
সিদ্ধার্থের বাবা সরোজ কান্তি বিশ্বাস বর্তমানে ভারতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, “অনিয়মের অভিযোগ আসায় সাবেক চেয়ারমানের করা তালিকা যাচাই শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ হলে প্রভাবশালী ও বৃত্তবানদের এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।”