এদিকে ফরম পূরণের জন্য বাড়ি থেকে আনা পাঁচ হাজার টাকার কোনো হাদিস পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের পাশের নালা থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম হাওলাদার জানান, পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ন্যূনতম ৬০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতির দরকার হয়; কিন্তু এ বছর ক্লাসে লিপুর উপস্থিতি ছিল ৫৬ শতাংশ। এ কারণে তার ফরম পূরণের অনুমতি ছিল না।
লিপু ফরম পূরণ করতে তার কাছে যাননি বলেও জানান রেজাউল ইসলাম।
লিপুর মা হোসনে আরা বলেন, মঙ্গলবার সকালে লিপু ফরম পূরণের জন্য টাকা লাগবে বলে জানান। ওইদিন বিকালে বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে তাকে চার হাজার টাকা দেওয়া হয়।
“পরদিন বুধবার দুপুরে লিপু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। সে সময় ফরম পূরণ করেছে কিনা জানতে চেয়েছিলাম। সে ফরম পূরণ করেছে বলেছিল।”
লিপুর বাবা বদর উদ্দিন বলেন, বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় তার মা লিপুকে চার হাজার টাকা দেয় এবং লিপু গ্রামের একজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার করে। যাওয়ার সময় লিপু মোট পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
লিপু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে লাশ পাওয়ার পর থেকে তার কক্ষ তালাবন্ধ ছিল। দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে লিপুর কক্ষে তল্লাশি করা হয়।
তবে তার কক্ষে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
লিপু হত্যার ঘটনায় তার চাচা বশির উদ্দিন বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিন দিন থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তার রুমমেট মনিরুল ইসলামকে ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।