এ কাজ প্রতিরোধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কিংবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৩ সালে স্থানীয় মো. সরাফত আলী মিয়া, হাবিবুর রহমান, সুজা মিয়া, দুধ মিয়া, রুপ ভানুসহ ১০/১১ জন ৩৩ শতাংশ জমি পূর্ব শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন।
কিন্তু অন্যতম দাতা সরাফত আলীর ছেলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হোসেন দানকৃত ওই সম্পতি দখল রাখেন। বর্তমানে সেখানে তিনি দ্বিতল ভবনের নির্মাণ শুরু করেছেন।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, “ফারুক হোসেন স্কুলের শিক্ষক ও প্রসাশনকে ম্যানেজ করে সম্পত্তি দখল করার জন্য নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। সভাপতি হওয়ার পরপরই জোর করে এখন স্কুলের জমিতে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করছেন।”
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল মতিন বলেন, ১৯৯৩ সালের পর থেকে ফারুকের বাবা শরাফত আলী শেখপুরা গ্রামের ভূমিদস্যু হিসেবে বেশ পরিচিতি ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার ছেলে ফারুক হোসেন বিদ্যালয়ের সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে ফারুক হোসেন বলেন, “বিদ্যালয়ের অনেক সম্পত্তি অনেকেই দখল করে আছে। সেগুলো আগে দখলমুক্ত হোক, তারপর আমি আমারটা ফেরত দেব।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলোয়ারা বেগম বলেন, দলিল মূলে বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ সম্পতি আমাদের দখলে নাই।
সম্পত্তি উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “দূর থেকে আমরা এখানে চাকরি করেত আসি। সম্পত্তি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। এজন্য চুপচাপ আছি।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, “আমি তো রামগঞ্জে যোগদান করেছি অল্প কয়েকমাস হয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলো আসলে অনেক পুরোনো সমস্যা। আর ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই।”