রাবি ছাত্রের মৃত্যু মাথায় আঘাতে: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

মাথায় বড় ধরনের আঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2016, 11:35 AM
Updated : 20 Oct 2016, 02:42 PM

বৃহস্পতিবার সুরতহাল শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ডা. এনামুল হক বলেন, “লিপুর মাথায় ডান পাশে বড় ধরনের আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাত ছাদ থেকে পড়ে গিয়েও হতে পারে, আবার মোটা রোলার-লাঠির আঘাতের কারণেও হতে পারে। তার মাথার প্রায় সবগুলো হাড়ই ভেঙে গেছে। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতেরও চিহ্নও রয়েছে।

“শরীরের কোথাও ধারালো কোনো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিং-এর পাশের ড্রেন থেকে লিপুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এটাকে হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরে পুলিশ লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলাম ও প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

লিপু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হলের এক কর্মচারী সকালে ঝাড়ু দিয়ে গিয়ে ডাইনিংয়ের পাশে ওই শিক্ষার্থীর লাশ দেখতে পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ৩টার দিকে লিপুর লাশ বিভাগের শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বেলা সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা শেষে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

এদিকে এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন লিপুর চাচা বশীর উদ্দিন।

মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত লিপুর চাচা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করে একটি হত্যা মামলাটি করেছেন।

এ ঘটনায় লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলাম ও তার বন্ধু ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রদীপ বিশ্বাসকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বশীর উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদিন আগে কারো কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিল লিপু। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে আসার সময় আমাকে সেসব কথা বলেছিল। তারা কারা ছিল সেসব তথ্য পুলিশকে জানিয়েছি।”