সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব ধুলাসার এলাকার শাহজাহান ফকির, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছেলে সোলায়মান ফকির।
মামলার পর থেকে তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
একইসঙ্গে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানান পিপি কমল দত্ত।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ধূলাসার গ্রামের সোলায়মান ফকিরদের পুকুর থেকে পানি নিয়ে প্রতিবেশী মোবাশ্বর মৃধা তাদের তরমুজ ক্ষেতে ব্যবহার করায় উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল বিকালে মোবাশ্বর মৃধার নয় বছরের ছেলে শাকিল তার বোনকে নিয়ে প্রতিবেশী রুহুল আমীনের বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে ফেরার পথে কৌশলে সোলায়মান তাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
“বোন লাভলী বাড়ি ফিরে শাকিলকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানালে পরিবারের সদস্যরা সোলায়মানদের বাড়ি গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়।
“পর দিন বিকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন কাউয়ারচর এলাকার সাগরে শাকিলের ভাসমান লাশ পায় পুলিশ।ওই দিন শাকিলের মা মোসা. জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে গুম ও হত্যা মামলা করেন।”
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তদন্ত শেষে তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।