রোববার উপজেলার মিত্রসেন পট্রি (লঞ্চ ঘাট) এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান গোসাইরহাট থানার ওসি মোফাজ্জল হোসাইন।
নিহত ফিরোজ সরদার (১৮) ওই এলাকার সবুজ সরদারের ছেলে।
এ ঘটনায় হোটেল মালিক আব্দুস ছালাম পেদার ছেলে বাপ্পী পেদাকে (২০) আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
ফিরোজের মা মাহমুদা বেগম বলেন, মিত্রসেন পট্রি (লঞ্চ ঘাট) এলাকার সুমাইয়া আবাসিক হোটেলের মালিক আব্দুস ছালাম পেদা শনিবার রাত ২টার দিকে ফিরোজকে মোবাইলে ফোন করে হোটেলে ডেকে নেন। ফিরোজ রাত ৩টার দিকে সেখানে গেলে তাকে পাশের মোল্ল্যা স মিলে নিয়ে ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে ৪/৫জন মিলে পিটিয়ে সেখানে ফেলে যায়।
“পরে তারা মোবাইলে আমাকে ডেকে এনে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে। তখন ফিরোজকে ভ্যানে করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন।”
ওসি মোফাজ্জল বলেন, “সুমাইয়া হোটেলের মালিক চুরির অপবাদ দিয়ে ফিরোজকে আটক করে পিটুনি দেয়। এত সে মারা যায়।”