ঝিনাইগাতীর ইউএনও সেলিম রেজা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পানবর ও গুরুচরণ দুধনই গ্রামে বন্যহাতির তাণ্ডবে তিনজন নিহত হওয়ার পর হাতি আরও বেপরোয়া হলে তিনি নিজে ঘটনাস্থল থেকে শেরপুরের এনডিসির মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা চান।
কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে না গিয়ে পরবর্তী সময়ে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এরপরও রাতে ফায়ার সার্ভিস অফিসে দফায় দফায় ফোন করেও বন্ধ পাওয়া গেছে, বলেন ইউএনও।
বিষয়টি শেরপুরের জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে বলে ইউএনও জানান।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বন্যহাতির বিষয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেখানে যাইনি।”
সেখানে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারত এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাছাড়া সেখানে গিয়ে নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া তাদের আর করার কিছু ছিল না বলেও তিনি মনে করেন।
তবে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখার অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি দাবি করেন।