রোববার আদালত কার্যক্রম শুরুর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আসামি আরজু মিয়া, রুবেল ও শাহেদের মধ্যে মারামারির হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া নিয়ে মারামারির এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আসামিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে একই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন করা হয়েছে।
বাদীর আবেদনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা আলম মামলার দায়িত্বরত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল হাসেম মোল্লা মাসুমের পরিবর্তে মামলাটি পরিচালনার জন্য ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনকে স্পেশাল পিপি নিয়োগ দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন মামলার বাদী মো. আব্দাল মিয়া।
রোববার মামলার নির্ধারিত তারিখে কারাগারে আটক পাঁচ আসামিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ রাখেন বিচারক।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।
পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ঘটনার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আলীসহ সাত জনকে আটক করে। অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
তাছাড়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরজু, রুবেল ও শাহেদসহ চারজন। এ মামলায় গত ৯ জুলাই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আসামিদের মধ্যে তিনজন পলাতক রয়েছেন।