লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত

লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2016, 11:25 AM
Updated : 8 Oct 2016, 11:25 AM

শুক্রবার রাতে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহত ফারহানা আক্তার (৩২) পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান খানের মেয়ে। শহরের শাখারীপাড়া ছোটপুল এলাকায় সবিতা রাণীর বাসায় থেকে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

ফারহানা লক্ষ্মীপুরে মা-মনি প্রকল্পে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্যারামেডিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ফারহানার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আহত ওই ছাত্রীর চিকিৎসার খবর নিতে হাসপাতালে যান।

ফারহানা বলেন, শুক্রবার বিকালে পরীক্ষার পর সবিতার বাসা থেকে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়। বাসের টিকিট না পেয়ে পুনরায় বাসায় ফেরার পথে শাখারী পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

তিনি দাবি করেন, লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউজে ডা. ইমামুলের মধ্যস্থতায় ৩০ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হয়।

পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে আশফাকুর তাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং শুক্রবার তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরাই হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ফারাহানা।

এ ব্যাপারে আশফাকুর রহমান মামুন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই কাজ করছে এই মেয়ে। এই মেয়ে বিবাহিত ও তার আগের ঘরেও বাচ্চা আছে।”

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) খন্দকার মো. শাহনেওয়াজ ও সদর থানার ওসি আবদুল্যাহ আল-মামুন ভূঁইয়া সদর হাসপাতালে আহত ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।