বুধবার সকাল থেকে এই হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালের পক্ষে সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করে, কয়েকটি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-ঢাকা সড়কসহ সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পৌর এলাকার দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের পৌর নির্বাচনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে মনোনীত মোতায়েম হোসেন স্বপনকে কেন্দ্রীয় কমিটি বাদ দিয়ে মেজবাহ উদ্দিনের নাম ঘোষণা করার প্রতিবাদে এই হরতাল আহ্বান করা হয়।
“গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূলের ভোটে মনোনীত মোতায়েম হোসেন স্বপনের পক্ষে পাকুন্দিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ। এর বাইরে অন্য কারও মনোনয়ন চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
আগামীকালও হরতাল চলবে বলে তিনি ঘোষণা দেন হরতাল চলাকালে দুপুর ১টার দিকে পাকুন্দিয়া ঈদগাহ মাঠের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, তৃণমূলের ভোটে মনোনীত প্রার্থী মোতায়েম হোসেন স্বপনের নাম চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কমিটি মেজবাহ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে।
মেজবাহ উদ্দিন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম আমি বর্জন করেছিলাম। যোগ্যতা বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমাকে জানিয়েছেন।”
“আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি আশা করি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সবাই মেনে নেবেন।”