বুধবার সকালে সাজিদুল (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে বলে জানান নৌবাহিনীর কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাইয়ান আল বেরুনী।
শহরের রিজার্ভ বাজারের সরকারি মহিলা কলেজের কাছে কাপ্তাই হ্রদঘেঁষে গড়ে ওঠা টিটু ঠিকাদারের তিনতলা পাকা ভবন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ধসে পড়ে।
নৌবাহিনী কর্মকর্তা রাইয়ান বলেন, বুধবার সকাল ৭টায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করার পর সকাল ৮টায় শিশু সাজিদুলের লাশ উদ্ধার করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
“ধসে পড়া ভবনে আর কারও আটকে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত হওয়ার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনাসদস্য, পুলিশ ও স্থানীয়রা দুই শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করে। তারা হলেন জাহিদ হোসেন (২৮) ও তার মেয়ে পিংকি (১৩), হাবিবা (২২) ও সামিদুল (৭)। সাজিদুল ও সামিদুল দুই ভাই। হাবিবা রাঙামাটি কলেজের ছাত্রী; ওই ভবনের একটি বাসায় জায়গীর থাকতেন।
এছাড়া আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শোপা বেগম নামে একজনকে। তাকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ভবনে চারটি পরিবার বাস করত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসাইনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাড়ির মালিক টিটু ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেওয়া হবে বুধবার দুপুর ১২টায়।