দগ্ধরা হলেন- মো. শাওন (৩০), তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫) ও জাহানারার প্রথম পক্ষের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (১৫)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শাওন ও জাহানারা একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ করেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।
বাড়ির মালিক রতন মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, তিন বছর আগে শাওন ও জাহানারার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাহানারা ও তার প্রথম পক্ষের তিন সন্তান নিয়ে শাওন এক বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন।
শাওন ও জাহানারার মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া হতো বলে জানান প্রতিবেশীরা।
তারা জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। শাওন, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা চিৎকার করছিলেন। ওই সময় জাহানারার মেয়ে সেতু (১০) ও মিতু (১২) তাদের শরীরে পানি ঢালছিল।
আহত হওয়ার পর শাওন বলেন, তার স্ত্রী জাহানারার পঞ্চম স্বামী তিনি। বিয়ের পর থেকে জাহানারার প্রথম পক্ষের স্বামীর সন্তান মো. জাহাঙ্গীর তার মায়ের সঙ্গেই থাকত। এ নিয়ে স্ত্রী জাহানারার সঙ্গে তার কলহও হতো।
জাহানারা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে এসিডে এনে রাখে বলে শাওন অভিযোগ করেন।
শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘরে রাখা এসিড নিয়ে কাড়াকাড়ির এক পর্যায়ে সবাই দগ্ধ হয় বলে দাবি শাওনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, শাওন নিয়মিত নেশা করেন। ঘটনার দিনও ঘরে বসেই নেশা করছিলেন। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শাওন জাহানারার শরীরে এসিড ঢেলে দেন। মাকে বাঁচাতে বাধা দেওয়ার সময় জাহাঙ্গীরও দগ্ধ হয়।
এ সময় জাহানারা বাধা দিতে গেলে শাওন নিজেও দগ্ধ হন বলে জানান ওই প্রতিবেশী।
প্রতিবেশীরা তিনজনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে রাত ১২টার দিকে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা এসিডদগ্ধ বলেই মনে হয়েছে। জাহানারার অবস্থা গুরুতর হলেও বাকিরা আশংকামুক্ত।