সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাসলিমা খাতুন অভিযোগ করেন, তার মা রোজিনা খাতুন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের সাইফুল, মন্টু এবং সদরের বেঙ্গা বেরইল গ্রামের বেল্লালের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।
এ নিয়ে তার মা রোজিনার সঙ্গে বাবা আরজ আলীর প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলছিল, বলেন তাসলিমা।
তাসলিমার দাবি, এর জেরে রোজিনা তার কথিত ওই সঙ্গীদের নিয়ে ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আরজ আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের গড়াই নদীতে ফেলে দেন।
তাসলিমা ঘটনার রাতে বাবার পাশের কক্ষে থাকায় ওই খুনের ঘটনা দেখে ফেলেন বলে দাবি করেন।
তিনি জানান, পরদিন ২৪ জুলাই সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও রোজিনাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সাইফুল ও বেল্লালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রোজিনা, সাইফুল ও বেল্লাল এ খুনের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
তাসলিমার অভিযোগ, জামিনে বের হয়ে বেল্লাল তার সহযোগী লিটন ও টিক্কাসহ কয়েকজন তাকে (সাক্ষী তাসলিমা) ও তার বোন মেরিনা খাতুনকে অপহরণ ও খুন-গুমের হুমকি দিচ্ছে।
তাসলিমা বাবার খুনি তার মাসহ জড়িতের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।