এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা গাড়ির ভেতরে একজনের লাশ ছিল বলে ‘ধারণা’ করছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নিখোঁজ জালাল উদ্দিন ভূইয়া রুমীর (২০) সন্ধান চালাচ্ছেন। রুমী নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুর রউফের ছেলে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, শনিবার সকালে ৬০ ফুট পানির নিচে কারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাতে রশি বাঁধা হয়। রশিটি একটি জাহাজে বেঁধে কারটি পানিতে ভাসিয়ে তোলা হয়। পরে উপস্থিত জনতার সহায়তায় গাড়িটি টেনে তীরে তোলা হয়।
গাড়ির পর এখন লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার রাতে চালক মো. রুবেলকে নিয়ে রুমী মুক্তারপুর সেতুতে ঘুরতে আসে। রুবেল পুলিশকে বলেছেন, সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে তাকে নামিয়ে রেখে রুমী নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। টোল প্লাজা থেকে ইউ টার্ন করে ঘুরে আসার পথে রেলিং ভেঙে গাড়িটি পড়ে যায়।
রাত ২টার দিকে নদীর প্রায় ৬০ ফুট পানির নিচের তলদেশ থেকে নিখোঁজ কারটির বাম্পার পাওয়া যায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিত হয় বলে জানিয়েছিলেন সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি হুমায়ুন কবির।
মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হয়। বিকাল ৩টায় কার উদ্ধার সমাপ্ত হয়।
“সাদা রংয়ের নতুন কারটির পেছনের অংশ দুমুড়েমুচড়ে গেছে। গাড়ির ভেতরে রুমীর মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গেছে।”
বিধস্ত কারটি মুক্তারপুরে ধলেশ্বরীর দক্ষিণ তীরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রুমীর স্বজনরা মুক্তারপুর সেতু এলাকায় তার রয়েছেন বলে জানান তিনি।
মোশারফ হোসেন আরও জানান, কারটি ঈদের কয়েকদিন আগে কেনা হয়েছিল। রুমী নতুন গাড়ি চালানো শিখেছেন। এখনও লাইসেন্স পাননি।
পরিবারের বরাত দিয়ে মোশারফ হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের কালীবাজার সংলগ্ন আমলাপাড়ায় বাবার বিসমিল্লাহ স্যানাটারিতে বসতেন রুমী। আগে মাদ্রাসা লাইনে পড়াশুনা করলেও এখন পড়াশুনা বন্ধ। বাবার সঙ্গে ব্যবসায় দেখাশোনা করছিলন।