দশ টাকা চাল: কম দেওয়ার অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দশ টাকা কেজির চাল বিক্রির সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে, যিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2016, 11:55 AM
Updated : 30 Sept 2016, 01:39 PM

মো. সেলিম রেজা নামের ওই ডিলার কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ শ্লোগানে সরকার সেপ্টেম্বর থেকে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় একজন হতদরিদ্র প্রতিমাসে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছে। 

রাজপাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মামুন মোল্লা বলেন, “গত ২৭ সেপ্টেম্বর চাল বিক্রি করেন ডিলার মো. সেলিম রেজা। এ সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।

“তিনি হতদরিদ্রদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের দাম ৩০০ টাকা গ্রহণ করেন, কিন্তু ৩০ কেজির স্থলে ২৫ থেকে ২৬ কেজি চাল দেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই ডিলার তার নিজের বাড়িতে চাল রেখে বাটখারার পরিবর্তে বালতিতে পরিমাপ করে চাল বিক্রি করেছেন। এ কারণে হতদরিদ্রদের ঠকিয়ে প্রতিজনকে ৪/৫ কেজি চাল ওজনে কম দিয়েছেন।

রাজপাট গ্রামের মান্নান মোল্লা বলেন, “আমি ৩০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল কিনেছি। বাড়ি গিয়ে ওজন দিয়ে দেখি সাড়ে ২২ কেজি চাল হয়েছে।”

তার মতো অরও অনেককেই চাল ওজনে কম দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চাল ডিলার সেলিম রেজা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এলাকার কিছু লোক জামাত-বিএনপি করেন। তারা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি চাল ওজনে কম দেইনি।”

কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমার কাছে কয়েকজন চাল ক্রেতা অভিযোগ করেছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। চাল মেপে ৩০ কেজির স্থালে ২৮/২৯ কেজি পেয়েছি।”

এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।