বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক কলেজের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
হাওড়াঞ্চলের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেছেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামে আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
“হাওড় এলাকা নানা দিক থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেও এখানকার কৃষকের অবস্থা ভালো না। এখানে বছরে একটি মাত্র ফসল হয়। এ ফসলটিও পুরোপুরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।”
“প্রায় প্রতিবছরই অকাল বন্যাসহ নানা কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে হাওড়ের কৃষকদের বেশি করে ভর্তুকি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, কেবল পরীক্ষায় পাশ করা নয়, মানসম্মত শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করে হাওর তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
“তদবির ছাড়াই যেন চাকরি হয়, সেভাবে লেখাপড়া করতে হবে। শিক্ষার্থীদের গুণগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদেরকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
বক্তৃতার এক পর্যায়ে ১৯৬৭ সালের দিকে মিঠামইনে স্কুল করার জন্য হাওড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪২ মণ ধান সংগ্রহ করার ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, শিক্ষা সচিব সারওয়ার হোসাইন ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বক্তৃতা করেন।