মঙ্গলবার সকালে চারটি ট্রাকে করে আসা চীন থেকে আমদানি করা এসব সার গুদামজাত করে কর্তৃপক্ষ।
জমাট বাঁধলেও সারের গুণগত মান ঠিক থাকে বলে জানিয়েছেন পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম মন্টু।
তিনি বলেন, জমিতে ছিটাতে সমস্যা হয় বলে কৃষকরা জমাটবাঁধা সার নিতে চায় না।”
ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফ্লাওয়ার অভিযোগ করেন, সকালে ডিলাররা জমাটবাঁধা নি¤œমানের সার গ্রহণ না করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। কিন্তু সারগুলো তড়িঘড়ি করে গুদামজাত করা হয়।
পরে এই সার নিতে ডিলাদের বাধ্য করা হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাবিবুর রহমান ফ্লাওয়ার।
তিনি বলেন, ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সারের জন্য সরকারকে দিতে হয় ৭০০ টাকা। আর তা ৮০০ টাকায় বিক্রির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু জমাটবাঁধা সার বিক্রি করতে বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লোকসান হবে।
“কৃষকরা জমাটবাঁধা সার কিনতে চায় না। বস্তা খুলে জমাট ভেঙে নতুন করে বস্তায় ভরতে হয়। এটা একটা বড় সমস্যা।”
এর আগেও কয়েকবার জমাটবাঁধা সার সরবরাহ করা হয়েছে বলে তিন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গুদামের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া বলেন, আগেও এ ধরনের সার গুদামে গ্রহণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে চীন থেকে আমদানি করা ১৬০০ বস্তায় ভরা আট মেট্রিক টন সারও গ্রহণ করা হয়।
এসব সার কী করা হবে সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান গুদাম কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে কারও অপরাধ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।