টাম্পাকো দুর্ঘটনা: লাশের সঙ্গে মিলল ভিসা কার্ড

টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে গিয়ে পাওয়া এক মৃতদেহের সঙ্গে ব্যাংকের ডেবিট কার্ড (ভিসা কার্ড) পাওয়া গেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 06:01 PM
Updated : 27 Sept 2016, 06:26 AM

তাতে লেখা রয়েছে মো. চুন্নু মোল্লা (২২)। ধারণা করা হচ্ছে ওই লাশটি চুন্নু মোল্লার। অন্য কঙ্কাল দুইটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সোমবার তিন জনের মৃতদেহ (কঙ্কাল) উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনার পর ৩৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেল।

টঙ্গী থানার এসআই সুমন ভক্ত জানান, চুন্নু মোল্লা, টাম্পাকো কারখানার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তিনি ফরিদপুর বোয়ালমারী থানার বাহিরনগর গ্রামের মোজাম মোল্লার ছেলে। তিনি ১০ সেপ্টেম্বর সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে যান। কারখানার অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তৈরি নিখোঁজের ১১ জনের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

“সোমবারের ওই তিনটিসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাত পরিচয় লাশের সংখ্যা হলো ১০।”

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান জানান, টাম্পাকো দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করে।

“উদ্ধার কাজ চলাকালে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুইজনের এবং দুপুর ১টার দিকে আরেকজনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে।”

তিনি জানান, লাশগুলো উদ্ধারের পর ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার এক লাশের সঙ্গে চুন্নু মোল্লার ভিসা কার্ড পাওয়া গেলেও তার ডিএনএ টেস্টের পর শনাক্ত করা হবে এবং স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

নিখোঁজদের লাশ সনাক্ত করতে গত বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকাস্থ মালিবাগে সিঅইডি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে নিখোঁজ ৯ জনের ১৮ স্বজন তাদের লালা ও রক্ত দিয়েছেন। আগামী রোববার আরও দুইজনের স্বজনরা তাদের লালা ও রক্ত দেবে বলে পুলিশ জানায়।

টঙ্গী থানার এসআই ও টাম্পাকো দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত আরও জানান, ওই দুর্ঘটনায় কারখানার নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদেরই ডিএনএ টেস্টের কার্যক্রম চলছে। 

ওই ঘটনায় টঙ্গী থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার কোনো আসামি আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি।