কবরে কেঁদে ওঠা গালিবার দাফন সম্পন্ন

কবর দেওয়ার সময় কেঁদে ওঠার তিনদিন পর মারা যাওয়া ফরিদপুরের নবজাতক গালিবা হায়াতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 03:35 PM
Updated : 26 Sept 2016, 03:35 PM

সোমবার বিকালে ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা হয়। সন্ধ্যায় আলীপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে গালিবার মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তের জন্য আগের দুটি ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।

রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ফরিদপুর জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক সদস্য নাজমুল হুদা মিঠু ও অ্যাডভোকেট নাজনীন আক্তার পপির মেয়ে গালিবা হায়াতের মৃত্যু হয়।

বিকাল ৫টার দিকে গালিবের কফিন বাড়ি পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশীরাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে গালিবা হায়াতের দাদা আবুল কালাম মিয়া গালিবা হায়াতের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃজ্ঞতা জানান।

ডা. জাহেদ মোমেরিয়াল শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে এম কামরুজ্জামান বলেন, “এই কমিটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক  বেগম উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব বলে আশাবাদী।”

ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত দলের প্রধান ডা. ঊষারঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের তদন্তও বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এ কমিটির আরও সাতদিন সময় প্রয়োজন হবে।”

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. অরুণকান্তি বিশ্বাস জানান, সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো আবুল কালাম আজাদের নির্দেশনায় এ ঘটনা তদন্তে রাজবাড়ী জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. রহিম বক্সকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি খুব শিগগিরই তদন্ত কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ী কমলাপুরের নাজমুল হুদা মিঠুর স্ত্রী নাজনীন আক্তার পপিকে শহরের ডা. জাহেদ মোমেরিয়াল শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জন্মম নেয় গালিবা।

পরে গাইন চিকিৎসক রিজিয়া আলম নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে নবজাতককে কবর দিতে গেলে সে কেঁদে ওঠে এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স্বজনরা তাকে আবার শিশু হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় শনিবার বিকালে হেলিকপ্টারে করে গালিবাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।