কম্পিউটার অপারেটরের পাঠদান, ছাত্রকে পিটিয়ে জখম

শেরপুরে একটি স্কুলে কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে শ্রেণিতে পাঠদান করানোর সময় এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 12:26 PM
Updated : 27 Sept 2016, 05:54 AM

সোমবার দুপুরে সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হাবিবুর রহমান শান্ত (১৩) ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ আলীর ছেলে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শেরপুর সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় নিযোগ পাওয়া ওই কম্পিউটার অপারেটর হলেন জেলা শহরের নারায়ণপুর মহল্লার মৃত পীযুষ দত্তের ছেলে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর তাকে প্রত্যাহার করেছে। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, পার্থ দত্ত গত বছরের ১ জুলাই সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমীতে যোগদান করেন। সপ্তম শ্রেণির প্রভাতি শাখার বিজ্ঞান ক্লাস নেওয়ার সময় তিনি ওই ক্লাসের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান শান্তকে ক্লাসে হইচই করার অভিযোগে স্টিলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রায়হানা আক্তার বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিসের ওই ব্যক্তি ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন। তিনি এই স্কুলের নিয়মিত শিক্ষক নন।

তিনি তাকে ডেকে সতর্ক করেছেন বলে জানান।

এছাড়া এ বিষয়ে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছেন বলেও তিনি জানান।

শিক্ষক না হলেও তাকে পাঠদান করতে শ্রেণিতে পাঠানো হলো কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কয়েক মাস হলো তিনি য্গেদান করেছেন। আগের প্রধান শিক্ষকের সময়ের রুটিনে ওই ব্যক্তিকে শিক্ষকের তালিকায় রাখা হয়েছিল।

এছাড়া বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষকও নেই। তাই তিনি তাকে ক্লাসে পাঠান বলে জানান। 

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষার্থীকে প্রহার করার কোনো নিয়ম নেই। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 

“পার্থ দত্তকে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ওই স্কুলে পাঠনো হয়েছিল। তাকে শিক্ষক হিসেবে ক্লাসে পাঠদান করার জন্য পাঠনো ঠিক হয়নি। তাকে ক্লাসে না পাঠালে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত না।”

এ ব্যাপারে পার্থ দত্ত বলেন, “ওই শিক্ষার্থীকে প্রহার করা ঠিক হয়নি।”

ঘটনার পর আহত শিক্ষার্থী শান্তর চাচা কাজী সারোয়ার জাহানসহ স্কুলের অন্যান্য সহপাঠীরা বিক্ষোভ করে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।