টাম্পাকোর ধ্বংসস্তূপে আরও ৩ দেহাবশেষ

গাজীপুরের টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ১৬ দিন পর ধ্বংসস্তূপে আরও তিনটি কঙ্কাল পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 06:31 AM
Updated : 27 Sept 2016, 06:21 AM

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা ও ১টার দিকে উদ্ধার করা দেহাবশেষগুলোর পরিচয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

এ নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীতে টাম্পাকো কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়াল।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, কারখানার ধ্বংসস্তূপ সরানোর একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল তিনটি কঙ্কালের সন্ধান পায়।

“সোমবার পাওয়া তিনজনের মধ্যে একজনের কাছে থাকা কাগজপত্র দেখে তাকে করখানার নিখোঁজ অপারেটর চুন্নু মোল্লা বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

লাশ কঙ্কাল হয়েছে কিভাবে, পুড়ে নাকি পচে, সে বিষয়ে কিছু বোঝা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

এর আগে গত শনিবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ৩৮ লাশের মধ্যে ৯ জন শনাক্ত হয়নি। অন্যদিকে নিখোঁজের তালিকায় রয়েছে ১১ জনের নাম।

টঙ্গী থানার এসআই ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত বলেন, লাশের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তিদের আপনজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করার কাজও চলছে।

ডিএনও মিলিয়ে লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান বলে তিনি জানান।

বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে বলা হলেও পরে কারখানার দুটি বয়লারই অক্ষত পাওয়া যায়।

এরপর তিতাস কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির এক সদস্য ধারণা করছিলেন, অবৈধভাবে গ্যাস টেনে নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত বুস্টার মেশিনের বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগতে পারে।

পরে আবার কারখানায় থাকা রাসায়নিক থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করে তিতাসের তদন্ত কমিটি।

টাম্পাকোয় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় কারখানার মালিক সিলেট বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথাও গাজীপুরের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।