রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মনসুর আলম রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন সাথী ইয়াসমিনের স্বামী মো. আরিফ হোসেন, আরিফের দুই ভাবি হানিফা হাসান ইভা ও মাহফুজা জান্নাতি লাইভা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হত্যার ঘটনার এক বছর আগে নগরীর বোয়ালিয়া রানীনগরের রহমান আলীর ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে নগরীর হেতম খাঁ এলাকার সাহাজিপাড়ার সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে সাথী ইয়াসমিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আরিফ হোসেন যৌতুকের জন্য সাথীর উপর নির্যাতন চালাত। এ কারণে বিয়ের কিছুদিন পর সাথী বাবার বাড়ি চলে যান। কিন্তু ঘটনার ৪/৫ মাস আগে আরিফ গিয়ে আবার তাকে নিয়ে আসে।
এরপর কয়েকদিন ভালো আচরণ করলেও আবার যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ শুরু করে আরিফের পরিবার।
মামলার অভিযোগ আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল বিকালে আরিফ হোসেন ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাথীর উপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তারা সাথীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হয়।
তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আদালতের পিপি মর্জিনা খাতুন জানান, ওই ঘটনায় সাথীর বড়ভাই সুজন হোসেন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দণ্ডিত তিনজন ও আরিফের মা মর্জিনা বেগমকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মা মর্জিনা বেগমকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান পিপি মর্জিনা।