ফরিদপুরে দাফনকালে কেঁদে ওঠা নবজাতক ঢাকায়

ফরিদপুরে মৃত ঘোষণার ছয় ঘণ্টা পর কবর দেওয়ার সময় কেঁদে ওঠা নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 02:14 PM
Updated : 24 Sept 2016, 05:35 PM

শনিবার বিকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান নবজাতকের দাদা আবুল কালাম মিয়া।

বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে জন্মের দুই ঘণ্টা পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার সকালে কবর দেওয়ার আগে সে কেঁদে ওঠে। তাকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

দাদা আবুল কালাম বলেন, “চিকিৎসকরা তাকে বৃহস্পতিবারই ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় আমরা নিতে পারিনি।

“শনিবার দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তার চিকিৎসার ভার বহন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া ব্যবস্থা করেন।”

ফরিদপুর সদর হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ খোন্দকার মো. আবদুল্লাহ হিস সায়াদ বলেন, “২৪ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হওয়া ৭০০ গ্রাম ওজনের নবজাতক ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ভাল পরিচর্যা পেলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।”

নবজাতক গালিবা হায়াতকে বিদায় জানাতে শত শত মানুষ হাসপাতাল ও স্টেডিয়ামে ভিড় করেন। উপস্থিত সবাই তার আরোগ্যলাভের প্রার্থনা করেন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ওই হাসপাতালে গিয়ে নবজাতকের খোঁজখবর নেন।

নবজাতক ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা জেলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নাজমুল হুদা (২৬) ও আইনজীবী নাজনীন আক্তারের (২৩) প্রথম সন্তান।

বৃহস্পতিবার মৃত ঘোষণার পর রাত ৩টায় কবর দিতে গেলে পৌরসভার গোরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক তাদের শুক্রবার সকালে যেতে বলেন। রাতে তাকে কবরস্থানেই একটি কার্টনে করে রেখে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে কবর দেওয়ার আগে নবজাতক কেঁদে ওঠে।

এ ঘটনায় হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।