ফারুক হত্যা: এমপি রানার ২ সহযোগী কারাগারে

টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার পর আত্মসমর্পণকারী তার দুই সহযোগীকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 07:05 AM
Updated : 24 Sept 2016, 09:44 AM

শনিবার সকালে নাসির উদ্দিন নূর ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান অতিরিক্ত জেলা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

আদালত আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে গত রোববার এ মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস‌্য আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

এ নিয়ে এই মামলায় অভিযোগপত্রের ১৪ আসামির মধ্যে তিন জনকে কারাগারের পাঠানো হলো। চারজন রয়েছেন জামিনে। পলাতক আছেন বাকি সাতজন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুককে। হত্যার তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ফারুক হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রানাদের চার ভাইকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

এরপর চলতি বছর ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

বাকি আসামিদের মধ্যে আনিছুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ  আলী ও সমীর মিয়া কারাগারে এবং ফরিদ আহমেদ জামিনে আছেন।

পলাতক সাত আসামি হলেন- রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন ও ছানোয়ার হোসেন।

গত ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এরপর আদালতের নির্দেশে ২০ মে রানাসহ পলাতক আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে পুলিশ।

মামলার দ্রুত নিস্পত্তির জন্য টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গত ৮ অগাস্ট জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করেন। পরদিন জেলা প্রশাসকের অনুমোদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।