শনিবার ভোরে উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষ বাঁধে বলে ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই দিলিপ কুমার জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা প্রথমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ বললেও পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝাউদিয়া ইউপিতে গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার হোসেন ও কেরামত আলীর সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন।
বখতিয়ার ও কেরামত দুজনই আওয়ামী লীগের সমর্থক। সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হন কেরামত।
নিহত দুজনই চেয়ারম্যান কেরামতের সমর্থক। তারা হলেন- ইমান আলী (৪৮) ও শাহাজুদ্দিন (৫০)।
আহতদের মধ্যে আটজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা দিলিপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর থেকে কেরামত সমর্থক সুজা মেম্বার এবং বখতিয়ার সমর্থক মজিদ মেম্বারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইমানের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর শাহাজুদ্দিনের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নুর-এ-আলম সিদ্দিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এই বছর ভোটের পর থেকে কেরামত ও বখতিয়ার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আগেও কয়েকবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছিল।
গত সোমবার রাতে তাদের মারামারিতে ইউনিয়নের আলীনগরসহ কয়েকটি গ্রামে শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয়।