বগুড়ার ‘পাখি বাড়িতে’ ঈদ উৎসব 

ঈদের ছুটি শেষ হলেও বগুড়ার ধুনটের ভুটান সরকারের বাড়ির উৎসব যেন শেষ হয়নি। তার বাড়ির হরেক রকমের পাখির সঙ্গে সময় কাটাতে অনেকেই ভিড় করছেন দলে দলে।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2016, 07:44 AM
Updated : 17 Sept 2016, 07:48 AM

উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নের মাধবডাঙা গ্রামের ওই বাড়িতে প্রতিবছরই পানকৌড়ি-কানাবকসহ গ্রীষ্মকালীন দেশীয় নানা জাতের পাখি বাসা বাঁধে।

আর তাদের দেখতে ঈদের ছুটি কাটাতে আসা অনেকেই বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে ভিড় করেন ভুটান সরকারের বাড়িতে। এবার ঈদে তাদের সংখ‌্যা আরও বেড়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমরক তিনি বলেন, প্রতিবছর শীত শেষ হওয়ার পরপর দেশি পানকৌড়ি, কানাবক, সাদাবক, ডাহুকসহ অন্যান্য পাখি তার বাড়িতে আসতে শুরু করে; ছয় মাস থেকে শীত আসার আগে আগেই চলে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে সকাল থেকেই লোকজন আসছেন ভুটান সরকারের বাড়িতে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের ভিড়। সন্ধ্যায় সব পাখি নীড়ে ফেরার পর কমতে থাকে সেই ভিড়।

পাখি দেখতে আসা বগুড়া শহরের তাসনুভা ফাওজিয়া সুহা বলেন, “দাদুর বাড়িতে ঈদ করতে এসেছি। এই গ্রামে অনেক পাখির গল্প শুনেছি। তাই পাখি দেখতে এসেছি, খুব ভালো লাগছে।”

ঢাকার নওশিন তাবাস্সুম দিয়া বলেন,“ পাখির গল্প শুনে এসেছি। হাজার হাজার পাখি দেখে আমি মুগ্ধ। এত পাখি কোথাও দেখেনি। এত ভালো লাগছে, বার বার পাখি দেখতে এখানে আসতে ইচ্ছা করে।”

এসব পাখির থাকার কেন্দ্রস্থল ভুটান সরকারের বাড়ি হলেও স্থানীয়রাও সচেতনভাবে তাদের দেখভাল করেন। ফলে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রতিবছরই হাজার হাজার পাখি আসে।

ভুটান সরকার বলেন, এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখিরাও এটাকে নিরাপদ স্থান মনে করে। প্রতিবছরই পাখির সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে দর্শনার্থীও।

“আমার খুব ভালো লাগে যখন কেউ পাখিগুলো দেখতে আসে। ঈদে পাখি দেখার জন্য ভিড় জমে বেশি। সকালে পাখি খাবার সংগ্রহে চলে যায়, বিকাল হলেই ফিরে আসে।”

গরমের ছয় মাসের মধ্যে পাখিগুলোর বাচ্চা হয় এবং শীতের আগেই সেগুলো নিয়ে তারা চলে যায় বলে জানান তিনি।