বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. মাহবুবুর রহমান সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে স্থাপনাগুলো বুঝিয়ে দেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা দখলে রেখেছিলেন শিল্পপতি রাগীব আলী।
ইউএনও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৭১৫টি স্থাপনা অফিশিয়ালি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মে চা-বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়াও ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। সেখানে তিনি নিজের নামে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ ৩৩৭টি প্লট তৈরি করে বিক্রি করেন। এসব প্লটে গড়ে উঠেছে বহুতল আবাসন ও বিপণিবিতান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের দুটি মামলায় গত ১০ অগাস্ট রাগীব আলী, তার ছেলে আব্দুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।