গত ১৪ অগাস্ট হাতিয়া উপকূল থেকে ১৭ জন জেলে ও মাঝি মাল্লাসহ নিখোঁজ হয় এফবি নূর আলম নামের মাছ ধরা ট্রলারটি।
হাতিয়ার জাহাজমারা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোকন উদ্দিন জানান, চব্বিশ পরগনার পাথর প্রতিমা থানা এলাকার জেলেরা মঙ্গলবার মাছ ধরার সময় ডুবন্ত অবস্থায় একটি নৌকার সন্ধান পান। পরে নৌকার ভেতর থেকে সাতজনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
“বোটের নন্বর দেখে স্থানীয় জেলেরা হাতিয়া ফিশিং বোট মালিক সমিতিকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। তাদের পাঠানো ছবি দেখে হাতিয়া ফিশিং বোট মালিক সমিতি বোটটি শনাক্ত করে।”
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাতিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল উদ্দিন মাঝি জানান, এফবি নূর আলম নামের ওই ট্রলারটির মালিক জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামের নবীর উদ্দিন মাঝি। বোটের হদিস না পেয়ে গত ২১ আগাস্ট হাতিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের পাথর প্রতিমা থানার এসআই মঈনুল হক টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার আধাডোবা ওই বোটের খবর পেয়ে লোকজন দিয়ে ট্রলারটি টেনে তীরে আনা হয়। পরে ট্রলারের ভেতরে লাশ পাওয়া যায়।
উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
জাহাজমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম বিল্লাহ জানান, ওই ট্রলারের সাত জেলের লাশ পাওয়ার খবর এলেও বোটের বাকি জেলে ও মাল্লাদের কোনো খবর তারা পাননি। তাদের সবার বাড়ি জাহাজমারা এলাকায়।
হাতিয়া থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে করা জিডিতে নিখোঁজ ১৭ জেলের নাম রয়েছে।
এরা হলেন- জাফর মাঝি, মো. রাশেদ, তাজুল ইসলাম, মো. দিদার, মো. মিরাজ, স্বপন, ফরহাদ, জহির উদ্দিন, মনির উদ্দিন, মিরাজ উদ্দিন, মেহরাজ উদ্দিন, সোহেল, সালাউদ্দিন, রোমান, রিয়াজ, নিশান ও এনায়েত হোসেন।