মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুর-ঢাকা মহাসড়কের মাইলের মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মালেক।
নিহতরা হলেন অটোরিকশাচালক রুস্তম আলী (২৮) ও এর যাত্রী স্থানীয় বেঙ্গল শু ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক নাজমা আক্তার।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার আরও পাঁচ যাত্রী আহত হন। তারা হলেন মুন্নি আক্তার, পারভীন আক্তার, কুলছুম বেগম, ফেন্সী ও জহির।
আহত পারভীন জানান, তারা দালালবাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। মাইলের মাথায় পৌঁছালে রায়পুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী ঢাকা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক রুস্তম ও যাত্রী নাজমা আক্তারের মগজ বের হয়ে মারা যান।”
নিহত নাজমা সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের জিল্লাল হোসেনের মেয়ে। অটোরিকশাচালক রুস্তম আলী একই গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।
ওসি মালেক বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য একই হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি পুলিশ আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।