রোববার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা গেটের কাছে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শান্তনা বসাক মারা যান।
শান্তনা সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধইনগর গ্রামের নরেন্দ্রনাথ বসাকের মেয়ে। বেগম রোকেয় হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তনা বসাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পাশের রেল লাইনে হেঁটে হেঁটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। কানে হেডফোন লাগানো ছিল। চারুকলা গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকবার তাকে রেল লাইন থেকে সরে যেতে বললেও তিনি খেয়াল করেননি।
ওই সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চারুকলা গেট অতিক্রম করছিল। পেছন থেকে আসা ট্রেনটি থেকে বারবার হর্ন বাজালেও ফোনালাপে মগ্ন থাকায় শান্তনা সরেননি। এ সময় পেছন থেকে ট্রেনটি ধাক্কা মারলে শান্তনা গুরুতর আহত হন।
পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক মো. শফিক বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসা শুরুর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ছাদিকুল আরেফিন বলেন, পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তার ভাই মরদেহ নিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন। ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
“বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”
নগরীর মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে এটা আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”