শুক্রবার রাতে আহত ইয়াসিন আলীকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম জানান।
ইয়াসিন আলী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর আননজীপুর গ্রামের বাবুল আখতারের ছেলে।
দিনাজপুর শহরের ইসলামবাগ মহল্লায় জজ কোর্টের আইনজীবী ফারুকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত সে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটটকমকে ইয়াসিন আলী জানায়, ফারুকের স্ত্রী রীনা বেগম চার মাস আগে ময়মনসিংহ থেকে তাকে দিনাজপুর নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। প্রথম এক মাস ভালো ব্যবহার করলেও তারপর রীনা বেগমের নির্যাতন শুরু হয়।
“স্টিলের চামচ, খুন্তি, লাঠিসহ হাতের কাছে যা পেত তা দিয়েই রীনা বেগম মারধর করত,” বলে ইয়াসিন।
ইয়াসিনের অভিযোগ, কাজ না পারার অজুহাত তুরে রীনা বেগম তার উপর নির্যাতন চালাত। নিয়মিত খেতেও দিত না। শুক্রবার রীনা বেগম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
ওসি রেদওয়ানুর রহিম জানান, শুক্রবার মারধরের পর ইয়াসিন বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে ওই বাড়ির লোকজন খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিশুর বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের শৈল্য চিকিৎসক বোরহান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাথা ছাড়াও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে অনেক জখমের চিহ্ন রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট ফারুক বলেন, “ইয়াসিন প্রতিদিন বিছানায় প্রস্রাব করত, তাই তাকে মারধর করা হয়েছে।”